আজ বিকেলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হঠাৎ বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শুরু হওয়া ঝড়ে ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটি ও বড় বড় গাছ।
আজ বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টাব্যাপী এই ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ের পাশাপাশি অল্প পরিমাণে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে হাওরের বোরো ফসল ও সবজিরও ক্ষতি হয়েছে। এদিকে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে ও গাছ উপড়ে পড়ায় ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কসহ অভ্যন্তরীণ অনেক সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপজেলাজুড়ে ৫০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিছিন্ন রয়েছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে সড়কে পড়ে রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে আছে।
এ সময় শহরের পূর্বাশা এলাকার বাসিন্দা রুপক দত্ত চৌধুরী জানান, ঝড়ে পূর্বাশায় ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বড় বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুতের খুঁটি, ট্রান্সফরমারের ওপর গাছ পড়ে তা ভেঙে পড়েছে। শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ও টিনের চাল ঝড়ে উড়ে গেছে। কিছু জায়গায় টিনের চালের ওপর গাছ ভেঙে পড়েছে।
এদিকে শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, ঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার। ঝড়ের পিক টাইমের স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ৬ মিনিট।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা রকেন্দ্র শর্মা বলেন, ‘হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় ও অল্প শিলাবৃষ্টি হয়েছে। আমরা মাঠপর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বলতে পারব কৃষির কেমন ক্ষতি হয়েছে।’